শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নে প্রজেক্টের নামে শতশত মানুষের চলাফেরার রাস্তা বন্ধের অভিযোগ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ শ্রীমঙ্গলে উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে বাগান,পুঞ্জি,স্কুল,মসজিদ,মাদ্রাসা ও ক্লিনিকে শত-শত মানুষের চলাচলের রাস্তা পিলার বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক লন্ডন প্রবাসীর উপর।
এবিষয়ে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করলে থানায় পিলার ভাঙ্গার মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। জানা যায়, সারেরগজ থেকে কমলগঞ্জ,রাজঘাট চা বাগান থেকে শিব বাড়ী পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পায়ে হেটে চলার একমাত্র ফাঁড়ি রাস্তাটি সাইটুলা গ্রামে প্রজেক্টের নামে পিলার বসিয়ে দিয়েছেন মতলিব খান নামের এক লন্ডন প্রবাসী। মতলিব খানের সাইটুলা গ্রামে রাস্তার উভয় পাশে একশত বিঘা জমি রয়েছে।
বহুদিন পূর্বে থেকে রাজঘাট,খেজুরীছড়া,ফুসকুড়ি,হরিণ ছড়া,টিবরা ছড়া,নিহারপুঞ্জি,নিরালা পুঞ্জি,জলিকা চা বাগান,ছনখলা ও শিব বাড়ীসহ আশপাশের এলাকার মানুষের চলাচলের ৩ফুট ফাঁড়ি রাস্তা রয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আরাফাত রবিন ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহজান মিয়া সংস্কার ও রাস্তাটি বড় করার উদ্যোগ নেন। গত এপ্রিল মাসে রাস্তাটিতে ইউপি সদস্য শাহজান মিয়া মাটি ভরাট ও সংস্কার করাতে গিয়ে মতলিব খানের সহযোগী সাজিদ মিয়া,উজ্জল ও গজমন নামক ৩ ব্যক্তির বাধার সম্মূখীন হন। উক্ত ব্যক্তিরা দাবি করে লন্ডন প্রবাসী মতলিব খানের একশত বিঘা জমি তারা প্রজেক্টের জন্য লিজ নিয়েছে।
এই রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাচল করলে তাদের প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই অজুহাত দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করিয়ে দেয় এবং পিলার বসিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করিয়ে দেয়। মাটি ভরাট করা রাস্তাটি কেটে ফেলে। এঘটনায় এলাকার মানুষ প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠে। পরবর্তীতে মতলিব খানের লোকেরা এলাকার প্রতিবাদী মানুষ ও রাস্তার কাজের শ্রমিকদের উপর পিলার ভাঙ্গার অভিযোগ এনে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ ১০ মে রাস্তার কাজের শ্রমিক কাজের আলমগীর মিয়া,ঝাড়ু মিয়া,ইব্রাহিম মিয়াকে গ্রেফতার করে।
উক্ত মামলায় এলাকার নিহীহ অনেক নারী/পুরুষ আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকার ছায়া বেগম,আমিনা খাতুন,রশিদ মিয়া,বিলাল মিয়া,এমরান মিয়া,হামিদ মিয়া,রহিম মিয়া বলেন,রাস্তা বন্ধের ব্যাপারে প্রতিবাদী হলেই মিথ্যা মামলার আসামী হতে হয়। এব্যাপারে উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজান মিয়া বলেন,রাস্তাটি বহু বছর আগের সাইটুলা গ্রামটি অনেক বড় যার ফলে দুভাগে বিভক্ত উত্তর সাইটুলা ও দক্ষিণ সাইটুলা আমি রাস্তার কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। লন্ডন প্রবাসী মতলিব খানের লোকেরা বাধা সৃষ্টি করে পিলার দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দক্ষিণ সাইটুলার ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার লোকেরা উত্তর সাইটুলায় আসতে পারবে না। গ্রামে একটি মাত্র প্রাইমারী স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে তা উত্তর সাইটুলা গ্রামে অবস্থিত। মতলিব খানের লোকেরা প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে ফলে সাইটুলা গ্রামসহ উভয় পাশের গ্রামগুলো দুভাগে ভাগ হয়ে যাবে।