ডোমারে জাতীয় বিঞ্জান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠিত।
বিঞ্জান,প্রযুক্তি ও নৈতিকতাঃ একসূত্রে গাঁথা ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারীর ডোমারে জাতীয় বিঞ্জান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২১ এর পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯শে ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম”র সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ ও বিঞ্জান প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলার সমাপনী ঘোষণা করেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার।
জাতীয় বিঞ্জান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং বিঞ্জান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাবেদুল ইসলাম সানবীম”র সঞ্চালনায়, উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা কৃষিবিদ বকুল ইসলাম, ফরহাদুল হক, উপজেলা ইউএফডি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসাইন, ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গত ২৮শে ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় বিঞ্জান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ -২০২১ইং শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ।
২দিন ব্যাপি জাতীয় বিঞ্জান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলায় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ৯টি স্টলের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সিনিয়র গ্রুপে ২টি কলেজের মধ্যে ডোমার সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, জুনিয়র গ্রুপে ৭টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতন, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়, গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়।
উল্লেখ্য যে, এ বছর উপজেলা পর্যায়ে ৪৩ তম জাতীয় বিঞ্জান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিযোগিদের নিয়ে বক্তৃতামালার আয়োজন করা হয়। বক্তৃতায় ৫টি প্রতিপাদ্যর বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিপাদ্যর বিষয়গুলো হলো, ১.”দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার ” ২. “ফাস্টফুড নয়ঃ চাই সুষম খাবার ” ৩. “প্লাস্টিক দূষণঃ ক্ষতিকর প্রভাব ” ৪. “বিঞ্জান, প্রযুক্তি ও নৈতিকতাঃ এক সুত্রে গাঁথা ” ৫. “স্মার্টফোনে আসক্তিঃ পড়াশোনার ক্ষতি” এই ৫টি প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনায় বিজয়ী প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বই এবং ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, প্রকল্প উপস্থাপনে সিনিয়র গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ডোমার সরকারি ডিগ্রি কলেজ। প্রকল্প উপস্থাপনে জুনিয়র গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অধিকার ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।