ডোমারের কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে রবিবার সকাল ৮ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়ের শশুর পরিবারের সদস্যরা জামাতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট সহ তিনটি গরু সিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়ে ডোমার বোড়াগাড়ি হাসপাতালে চিকিৎ¯^াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ২ বছর পূর্বে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র মনির উদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের নসিম উদ্দিনের কন্যা চিন্তো (১৬) বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ¯^ামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় বিবাদ লেগেই থাকত। এরই মধ্যে মনির প্রায় সময় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে আসছিল। এতে মনিরের স্ত্রী চিন্তো সন্দেহের জেরে কথা কাটাকাটি হয়। এতে স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে পাশ্ববর্তী পিতার বাড়িতে গিয়ে ¯^ামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে চিন্তোর পিতা নসিম উদ্দিন, একিন ইসলাম, এরজিনা বেগম, আমেনা বেগম, আমিন, আবেদা খাতুন, তহিদুল ইসলাম লাঠি সোটা নিয়ে জামাতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ময়নুল (৩৫), মাহাবুবার রহমান (২০), মনির ইসলাম (১৮)-কে মারধর করে ব্যপক ভাংচুর চালিয়ে বাড়িঘরের জিনিসপত্র লুটপাট সহ তিনটি গরু নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে উক্ত এলাকার আশরাফ আলী, ফাতেমা, শেফালী ও ময়নুলের পিতা রুহুল আমিন বলেন, কোন প্রকার ঝগড়া-বিবাদ ছাড়াই আমার পুত্র মনিরের শশুর পরিবারের লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করে আমার ছেলেদের বেধরক মারপিট করে। সে সময় আমার সন্তানদের নিয়ে রক্তাত্ব অবস্থায় জীবন বাচার তাগিদে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিযে যাই। সে সুযোগে সন্ত্রাসীরা আমার সবকিছু লুটপাট করে ৩ টি গরু নিয়ে যায়। তবে আমি ছেলেদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে বিরাম্বনা হচ্ছে। আগামি কাল মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
ময়নুলের পুত্র আলিফুজ্জামান (৭) বলেন, আমার চোখের সামনে আমার চাচা মনিরের শশুর বাড়ির লোকজন আমাদের বাসা ভাংচুর সহ লুটপাট করে ৩ টি গরু নিয়ে গেছে। আমি বাধা দেওয়া চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু, ছোট বলে আমাকে তারা ধাক্কা দিয়ে সবকিছু নিয়ে চলে গেছে।