কেরানীগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুই নারীকে লাঞ্চিতর ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করত গিয়ে ‘দৈনিক আমার সময়’ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ এনামুল হাসান সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলার শিকার সাংবাদিক বাদী হয়ে করানীগঞ্জ মডল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গত সোমবার দুপুর দুইটার দিক কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিদী ইউনিয়নের ভাংনা শান্তিনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘট।
এলাকাবাসী সূত্র জানাগেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে শিশু সিরাতুল ইসলাম (১০) বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এসময় স্থানীয় বখাটে সুজন মিয়া (২৮) শিশুটিকে চড় থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে শিশুটির মা সুমি আক্তার (৩০) তার ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে সুজন তাকে কিল ঘুষি মেরে আহত করে। একপর্যায় সুজনের সহযাগী নাহিদ(২৪), জাহিদ(৩০) সহ আরও কয়েকজন যুবক সুমিকে মারধার করে। এসময় সুমির বোন রুমা আক্তার (২৪) বোনকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধার করে গুরতর আহত করা হয়। ভুক্তভাগীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে ‘দৈনিক আমার সময়’ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এনামুল হাসান গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধার করা হয়।
হামলার শিকার “দৈনিক আমার সময়” পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এনামুল হাসান বলেন, দুই নারীকে লাঞ্চিত ও মারধারের ঘটনার বিষয় জানতে সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর দুইটার দিকে ভাংনা এলাকায় যাই। সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্চিত দুই নারী সুমি আক্তার ও রুমা আক্তারের সাথে কথা বলার সময় সেখানে অবস্থানরত সন্ত্রাসী মো. জাহিদ (৩০), সুজন মিয়া (২৮), মো. নাহিদ (২৫), শান্ত (২৪), মো. রাহাত (২৪), মো. আহাদ (২৬), রোকন মিয়া (৪৮), তার ছেলে সহ ১৪/১৫ জন লোহার রড, লাঠি সোটা দিয়ে পিটিয়ে ও কিলঘুষি মেরে আমাকে গুরুতর আহত করে। হামলার সময় আমি নিজকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সন্ত্রাসী নাহিদ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
একপর্যায় সন্ত্রাসীরা আমাকে মাটিতে ফেলে লোহার রড ও লাঠিসাটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। হামলায় আমার মাথা ও শরীরর বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হই। এতে আমার মাথায় দুই অংশ সেলাই পড়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা নীলফোলা জখম হয়। এসময় এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে আমাকে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মডিকল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু ছালাম মিয়া বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।