কালীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী জামিনে এসে আবারো শিশু নারীকে পিটিয়ে জখম ও ছিনতাই চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে
কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের সালদিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন জখমের হুমকি প্রদান ও নারী শিশুদের মারধর ছিনতাই ও চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার গভীর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার হয়ে রাতের আধারে কালীগঞ্জ থানায় এসে হত্যা মামলার আসামী ও সদ্য উচ্চ আদালত থেকে মুচলেকা নিয়ে জামিন প্রাপ্ত আসামী সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আরিফা বেগম ।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিছুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের এভাবে জখম করার ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজাউল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি, ঘটনার সত্যতা পাওয়াগেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পুর্ব শত্রুতা পোষন করে আসছিল। গত ৯ তারিখে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান আসামী মোতাহার হোসেন বাচ্চু (৫০) ২ ভাই রতন শেখ (৪৫) ও মোর্শারফ শেখ (৩৫), পিতা মৃত মনাই শেখ, বাচ্চুর পুত্র সিয়াম শেখ(২২),সবং সাং সালদিয়া জাংগালিয়া কালীগঞ্জ গাজীপুর গন অজ্ঞাত ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে লাঠি সোঠা লোহার রড, ও ধারালো ছেনি নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুদের এলোপাতালি ভাবে পিটিয়ে লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। ঘড়ের ভেতরে ঢুকে খাট আলনা ভাংচ‚র করে। বাদীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ৫ আনা ওজনের কানের দুল, আলমিরাতে রাখা গরু ক্রয়ের জন্য রক্ষিত ১ লাখ টাকা নিয়া যায়।
এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং তার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের সাথে আলাপ করলে তারা বিচারে ব্যার্থ হয়। অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার পর গোপনে বাড়ি থেকে অন্য রাস্তাদিয়ে কালীগঞ্জ থানায় পৌছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। শেষ সংবাদ পাওয়া আবদী জানা যায় হুমকির ভয়ে বাদীগং শিশু সন্তান নিয়ে আত্বীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে প্রধান আসামী মোর্শারফ হোসেন বাচ্ছুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই দিন এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি এমনকি আমরা তাদের বাড়িতেও যাইনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।